সারা বাংলা

২২০ টাকা কেজি পেঁয়াজ, ১১০ টাকা শিম

চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরি অতিক্রম করেছে বৃহস্পতিবারই। এর মধ্যে দফায় দফায় বাড়ছে সবজির দামও। ১০০ টাকার নিচে মিলছে না ফুলকপি, টমেটো, শিমসহ বিভিন্ন শীতের সবজি।

দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, এখন বাজারের সব পণ্যই যেন উচ্চবিত্তের জন্য, নিম্ম আর মধ্য  আয়ের মানুষরা যেন না খেয়ে মরার জন্য।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, কর্ণফুলী বাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার, কাজীর দেউরি বাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পেঁয়াজের মুল্য ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে থাকলেও বিকেলের পর থেকে দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।

নগরীর কর্ণফুলী বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ফয়সাল আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বাজারে মাছ,সবজি,পেঁয়াজ কেনার সামর্থ এখন আর আমাদের মতো নিম্ম মধ্যবিত্ত মানুষের নেই। ফুলকপি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্রায় একই মুল্যে বিক্রি হচ্ছে শিম, টমেটোসহ অন্যান্য সবজি। সাধারণ পাতাকপির মুল্যও ৬০ টাকা। আর পেঁয়াজের মুল্যতো বলার-ই অপেক্ষা রাখে না।’

এদিকে নগরীর কর্ণফুলী বাজারের বেশ কয়েকজন সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় সবজির মূল্য বেশি। বাজারে বেগুনের কেজি ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা,  মুলার কেজিও ৫০ টাকা, ঝিঁঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ২৫ টাকা,  মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা  ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে মাছের দামও চড়া। মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০/৭০০ টাকা কেজি দরে। রূপচান্দা ৬০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০ টাকা, রুই ২০০-২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা, কৈ মাছ  ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না ইলিশ। তবে মুরগরি দাম কিছুটা সহনীয় রয়েছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/শাহেদ