সারা বাংলা

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন বুধবার

আগামী বুধবার পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।  সকাল ১০টায় নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে এ সম্মেলন শুরু হবে।  ২০১৪ সালের ১৫ নভেন্বর  জেলা আওয়ামী লীগের  সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বিশেষ অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল।

সম্মেলনের প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে জেলা কমিটির পাশাপাশি উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সম্মেলকে ঘিরে জেলাব্যাপী ব্যাপক প্রচার চলছে।  জেলা শহরসহ বিভিন্ন সড়কে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।  নয়নাভিরাম আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়েছে জেলা শহর।

জেলা শহর মাইজদীর প্রধান ও সংযোগ সড়কের পাশে ভরে গেছে সম্মেলনে আগত অতিথি ও প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার ও পোস্টার-ফেস্টুন।  এছাড়াও চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার ও মিছিল-মিটিং।

অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও জেলার প্রবীণ  রাজনীতিবীদ অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এ পদে অন্য কোন প্রার্থীর নাম এখনো শুনা যাচ্ছে না।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির পক্ষে তার সমর্থকরা ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন।

একই পদে অন্য প্রার্থী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের পক্ষেও তার সমর্থকরা প্রচারে ব‌্যস্ত।  তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনেই ভরে গেছে শহর। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ‌্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।

দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, নোয়াখালী এক সময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নির্যাতনের ভয়ে এখানে দলের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ সাহস পেত না। কিন্তু এখন নোয়াখালী আওয়ামী লীগের দুর্গ।  বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগকে তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করা হয়েছে।  দলে কোন গ্রুপিং বা দ্বন্দ্ব নেই।  দলের সাংগঠনিক প্রধান শেখ হাসিনা যাকে দলের দায়িত্ব দেবেন, তিনিই জেলায় দলের হাল ধরবেন।

আরেক সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, দলের প্রধান ইতিমধ্যে বলেছেন তরুণ, সৎ, যোগ্য, ক্লিন ইমেজ ও তূণমূলের কাছে যিনি জনপ্রিয় তাকেই দলের দায়িত্ব দেয়া হবে। কে দায়িত্বে আসবেন তা ঠিক করবেন দলের প্রধান শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালী/সুজন/সাইফ