গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। ২৮ নভেম্বর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালতে সাক্ষী ও আসামিদের উপস্থিতিতে যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
আসামিদের মৃত্যুদণ্ডসহ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রধান আসামি কাদের খাঁনকে নির্দোষ দাবি করেন। যুক্তিতর্কের সময় আদালতে মামলার সাক্ষী ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ পর্যন্ত বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে কারাগারে থাকা আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি হয় আদালতে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খাঁনসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর থেকে কাদের খাঁন গাইবান্ধা জেলা কারাগারে আছেন। অন্য আসামি কাদের খাঁনের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানাও ওই কারাগারে আছেন।
এছাড়া, লিটন হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। গাইবান্ধা/সিদ্দিক আলম দয়াল/রফিক