সারা বাংলা

পাল্টে গেছে ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক

কিছু দিন আগেও খানা-খন্দকে ভরা ছিল বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির অংশ। এই পথটুকু চলতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো।

এখন আর সে অবস্থাটি নেই। যেখানে মাত্র ১৪ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগতো প্রায় এক ঘন্টা। ঝাকুনি খেতে খেতে যাত্রীরাতো বটেই রোগীরাও ভোগ করত চরম যন্ত্রণা। সে পথটি এখন পরম প্রশান্তির।

সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কটি এখন ২৪ ফুটে পরিণত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা এখন আর বুঝতেই পারেন না কখন গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন।

‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্প বরিশাল জোন’ এর আওতায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠি- বরিশাল সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চে। এই ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও আগেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি নির্মাণে উন্নত মানের কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে। সড়কটির প্রশস্ততা কম থাকায় আগে দু’টি গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করতে সমস্যার সৃষ্টি হত। তা ছাড়া খানা-খন্দক থাকায় প্রায়ই ঘটতো দুর্ঘটনা। এসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে সড়কটি ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ২৪ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে নির্মাণের ফলে সড়কটি অধিক টেকসই এবং মসৃণ হয়েছে। ফলে কমেছে যাতায়াতের সময় এবং দুর্ভোগ।

সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীরা জানান,  ভাঙ্গাচোরা রাস্তার কারণে ঝালকাঠি থেকে বিভাগীয় শহর বরিশাল যেতে তাদের আগে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। বর্তমানে সড়কটি সংস্কার ও চওড়া হওয়ায় দ্রুত এবং স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন তারা।

এ পথে নিয়মিত চলাচলকারী এনামুল হক বলেন, ‘ আগে এই রাস্তা খুব ভাঙ্গা ছিল। চলাচলে সমস্যা হত । সংস্কার হওয়ায় এখন আমরা খুব আরামে চলাচল করতে পারছি।’

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম.খান লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাহফুজ খান বলেন, ‘এই সড়কটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। এলসি পাথর দ্বারা নির্মিত সড়কটিতে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে আগামি ৫ বছরের মধ্যে এ সড়কটির কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত উপস্থিত থেকে সড়টির কাজ তদারকি করেছি। যেখানে মেটারিয়ালস মিক্সিং হয় সেই প্লান্টেও সার্বক্ষণিক আমাদের লোক উপস্থিত ছিল।’

 

ঝালকাঠি/ অলোক সাহা/টিপু