সারা বাংলা

সুরমা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে আকস্মিক ভাঙন

সুরমা নদীতে স্রোত নেই। কমতে শুরু করেছে পানি। পানি কমলেও নদীতে আকস্মিক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাতে সুরমার কানাইঘাট বাজার অংশের প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে নদী তীরের পাকা সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এসব স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা করছেন তারা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে ভাঙনের কারণ সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া গেছে। এর আলোকে শিগগিরই কাজ করা হবে।

স্থানীয় সংবাদকর্মী আলাউদ্দিন জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুরমার তীরে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দেয়। কানাইঘাট উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে আকস্মিক ভাঙন দেখা দেয়ায় নদী তীরের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে।

তিনি জানান, ভাঙনে কানাইঘাট পূর্ব বাজারে সুরমার প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর পাশে রয়েছে পাকা সড়ক এবং কানাইঘাট দারুল উলুম মাদ্রাসা। যদিও মাদ্রাসাটি নদী থেকে বেশ দূরে। তবুও ভাঙন অব্যাহত থাকলে সড়কসহ মাদ্রাসার সম্মুখের প্রবেশপথও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ বারিউল করিম খান জানান, নদী তীরের ২৫-৩০ ফুটের মতো জায়গায় ভাঙন হয়েছে। নদীর তীরে একটি ক্বওমী মাদ্রাসা, পাকা সড়ক এবং একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ জন্য ভাঙন কবলিত স্থানটি দ্রুত মেরামত করতে পাউবোকে বলা হয়েছে। 

এদিকে, বুধবার দুপুরে ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রুবেল সরকার। তিনি জানান, ডাইকের সড়কের অপরপ্রান্তে একটি বড় ডোবা রয়েছে। নদীর পানি কমায় সেই ডোবার পানি সড়কের নিচ দিয়ে লিকেজ হয়ে এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্থানটি সংস্কার করতে হলে প্রথমে ডোবার পানি নিষ্কাশন করতে হবে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে যত দ্রুত সম্ভব ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সিলেট/আব্দুল্লাহ আল নোমান/বকুল