সারা বাংলা

জঙ্গি হামলার রায়ে নিহত ওসি সালাউদ্দিনের পরিবারের সন্তোষ

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন গোপালগঞ্জের সন্তান, ঢাকার বানানী থানার তৎকালীন ওসি নিহত সালাউদ্দিন খানের পরিবারের সদস্যরা। এ রায় কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ জেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এরপরই সালাউদ্দিনের পরিবারসহ এলাকাবাসী সন্তোস প্রকাশ করেন। ওসি সালাউদ্দিন জঙ্গি হামলার সময় দায়িত্বপালনরত অবস্থায় জঙ্গিদের গ্রেনেডে নিহত হন।  

গোপালগঞ্জ শহরের ব্যাংকপাড়ায় বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এখন আরা আগের মতো কোলাহল নেই। সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। নিহত ওসি সালাউদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানেরা ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে ঢুকে পাওয়া গেলে ওসি সালাউদ্দিনের দুই ভাইকে।

বড় ভাই রাজিউদ্দিন খান বলেন, হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলা দমন করতে গেলে জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেড হামলায় তাদের ভাই নিহত হন। তারা ন্যায্য বিচারের পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তারা ভাই হত্যার বিচার পেলেন।

এ সময় ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ‘‘আমরা ভাই হারিয়েছি, আর তাকে পাবো না। আমরা সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় ছিলাম। এ রায়ের মাধ্যমে আমাদের সেই আশা পূরণ হয়েছে। আমরা চাই, উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে।’’ 

এই রায়কে কেন্দ্র করে জেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিশেষ করে আদালত চত্ত্বরে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নেয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল।

শহরের ব্যাংকপাড়া নিবাসী ও এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মৃত আব্দুল মান্নান খানের সাত ছেলে ও চার মেয়ে। ১১ ভাই বোনের মধ্যে ওসি সালাউদ্দীন আহম্মেদ ছিলেন পঞ্চম। বাবার মুত্যুর পর পুরো পরিবারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজ কাঁধে। পরিবারের সদস্যদের কাছে তিনি ছিলেন পিতৃতুল্য।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশালের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটে। জঙ্গিরা জিম্মি করে ১৭ জন বিদেশি এবং তিন জন বাংলাদেশিকে হত্যা করে। পরে সেনা অভিযানে পাঁ জঙ্গি নিহত হয়। এর এক পর্যায়ে জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেডে বনানী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালিউদ্দিন খান নিহত হন। গোপালগঞ্জ/বকুল