সারা বাংলা

ধর্মঘটের জন‌্য প্রস্তুত বরিশালের নৌযান শ্রমিকরা

১১ দফা দাবিতে ফের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের জন‌্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বরিশালের নৌযান শ্রমিকরা।  শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটের পর থেকে শুরু হবে এই ধর্মঘট।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্মবিরতি আহ্বানকারী সংগঠন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চল সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার।

তিনি বলেন, ‘নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা প্রদান, নৌযান শ্রমিকদের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ মোট ১১ টি দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ২৯ নভেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল।  কিন্তু আজ সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। তাই ১২টা ১ মিনিটের পর থেকে কর্মবিরতিতে যাবে শ্রমিকরা।’

বরিশাল নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এই ধর্মঘটে যাত্রী ও পণ্যবাহীসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। ধর্মঘট সফল করতে দেশের অন্যতম বৃহৎ নৌ-বন্দর বরিশালে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। তারা শুক্রবার সকালে বরিশাল নৌ-বন্দরে বিক্ষোভ করেছেন।

ধর্মঘট নিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি সুরভীর-৮ লঞ্চের ড্রাইভার আবু তালেব খান জানান, নৌ দুর্ঘটনা কিংবা দায়িত্বরত অবস্থায় একজন শ্রমিক মারা গেলে তার মরদেহটি বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে মালিক দায় শেষ করেন। আজ পর্যন্ত কোন মালিক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরন দেয়নি। এখন থেকে দুর্ঘটনা কিংবা দায়িত্বরত অবস্থায় কোন শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরন দিতে হবে। ’

বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার জালাল আহমেদ জানান, ‘১১টি দাবীর সবগুলোই যৌক্তিক। এর কোনটি বাদ দেয়ার মতো নয়। ’ বরিশাল/জে. খান স্বপন/সাজেদ