সারা বাংলা

যুদ্ধ জাহাজসহ ৭৩১ নৌযান নির্মাণ করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড

খুলনা শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য পাঁচ প্যাট্রোল ক্র্যাফ্টের কিল লেয়িং (নির্মাণ কাজের উদ্বোধন) অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী।

সোমবার বিকালে শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, খুলনা শিপইয়ার্ডে এ পর্যন্ত মোট ৭৩১ জাহাজ নির্মাণ ও ২৩৩১ জাহাজ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠান দেশের মাটিতে যুদ্ধ জাহাজ অর্থাৎ পাঁচ প্যাট্রোল ক্র্যাফ্ট এবং দুই লার্জ প্যাট্রোল ক্র্যাফ্ট নির্মাণ করে নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আরও পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফ্টের কিল লেয়িং অনুষ্ঠান আজ সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা এবং ব্লু ইকনমি কার্যক্রমের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হিসাবে স্বল্প মেয়াদী স্তরে নৌবাহিনীর জন্য এই পাঁচ প্যাট্রোল ক্র্যাফ্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।

জাহাজসমূহ দ্বারা উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা, পরিবেশ দুষণ প্রতিরোধসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

নৌবাহিনী প্রধান অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নিজস্ব ডিজাইন সক্ষমতা অর্জনে খুলনা শিপইয়ার্ডের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়েল) রিয়ার এডমিরাল এম মঈনুল হক, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হক ও খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম সাজেদুল করিম।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ড’র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। মৃতপ্রায় এ প্রতিষ্ঠান নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আজ এক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খুলনা/নূরুজ্জামান/বুলাকী