তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একসময় আইন করে সাংবাদিকদের শ্রমিক বানিয়ে দেয়া হয়েছিলো, আমরা তা সংশোধন করেছি। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষার জন্য ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সমস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব।
প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সবাই এর মাধ্যমে সুরক্ষা পাবেন। যখন আইনি সুরক্ষা হবে তখন যে কোনও সময় যে কাউকে ছাটাই করলে তিনি আইনি সুরক্ষা পাবেন।
শুক্রবার রাতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম নগরীর এক কমিউনিটি সেন্টারে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের একযুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের কল্যাণে নানামুখি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে আইনের মাধ্যমে ওয়েজবোর্ড হয়েছে, সে আইনে অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই। সেটি করতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে, না হলে নতুন আইন করতে হবে। সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ ক্রমান্বয়ে গ্রহণ করা হচ্ছে।
আমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব সমস্যা এক যুগেও সমাধান হয়নি তা ছয় মাসে সমাধান করেছি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশে প্রদর্শন করা হতো। ভারতের কোনো জায়গায় দেখা যেত না। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটি সাত মাসের মধ্যে বাস্তবায় করতে পেরেছি।
ক্যাবল অপারেটররা ডিটিএইচ এর মাধ্যমে যে সম্প্রচার করছে, অতীতে সেটিকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা ডিজিটালাইজড করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। অন্তত দশ লাখ ভারতের অবৈধ ডিটিএইচ বাংলাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিদেশি ডিটিএইচ দিয়ে যদি সম্প্রচার করা হয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে ৮শ থেকে ৯শ কোটি টাকা হুন্ডি হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে।
ভবিষ্যতে টেলিভিশন চ্যানেল ঢাকা কেন্দ্রিক থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই মাস থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে। এছাড়া আগামী তিন মাসের মধ্যে টেরিস্ট্রিরিয়াল চ্যানেল হিসেবে সারাদেশে দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ইনডিপেনডেন্ট টিভি’র ব্যুরো প্রধান অনুপম শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমদ সাজিব।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বিএফইউজে’র সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে টিভি রিপোর্টিং ও টেলিভিশন ক্যামেরা পারসনদের তৈরি তথ্যচিত্র থেকে বিচারক প্যানেলের নির্বাচিত সেরা তথ্যচিত্র এবং সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী