সারা বাংলা

ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

চিকিৎসকদের অবহেলায় বার বার শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ও মামলা দায়ের প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে সব কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র।

একটি মহল পরিকল্পিতভাবে নানা ছোট ঘটনাকে পুঁজি করে ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের ওয়েল পার্ক হোটেলের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান।

ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারের অভিযোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. লিয়াকত আলী বলেন, ম্যাক্স হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চট্টগ্রামবাসীকে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এই হাসপাতালে নামকরা রাজনীতিবিদ, সাংসদ, আমলা, সাংবাদিক, সমাজের উচ্চ পদস্থ গণ্যমান্য ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে সকলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হওয়ায় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই হাসপাতালে ৪০ হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. লিয়াকত আলী বলেন, ‘ইদানিং আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের সফলতায় এক মহল ইর্ষান্বিত হয়ে ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালিয়ে হাসপাতালের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ’

গত ৮ ডিসেম্বর এক প্রসূতির গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাক্স হাসপাতালকে দায়ী করা হয়েছে এবং আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার সঙ্গে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই।

এই প্রসঙ্গে ডা. লিয়াকত জানান, শারমিন আক্তার (২৯) নামের এক প্রসূতি চট্টগ্রাম মেডি‌ক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আফরোজা ফেরদৌসের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৩ ডিসেম্বর এই প্রসূতি নিজ বাসায় দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা প্রসব বেদনায় ভোগার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে সেখানকার ডিউটি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে এক মৃত বাচ্চা প্রসব করেন।

এই বাচ্চা প্রসবের সাথে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই। যে হাসপাতালে মৃত বাচ্চা প্রসব করেছেন সেই হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন প্রসূতি হাসপাতালের আসার পূর্বেই শিশুর মাথা বের হয়েছিলো। এতে ধারণা করা হয়, শিশুটি শ্বাসরোধ হয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু ন্যূনতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও একটি আলট্রাসনোগ্রাফির সূত্র ধরে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রোগীর স্বজনরা ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

আর যে আলট্রাসনোগ্রাফির সূত্র ধরে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে সেই আলট্রাসনোগ্রাফি করেছেন এক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক এবং আলট্রাসনোগ্রফির রিপোর্টেও গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা স্বাভাবিক ছিলো। এই শিশু মৃত্যুর সাথে ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা বা অবহেলা নাই বলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ম্যাক্স হাসপাতালের উত্তোরত্তর প্রচেষ্ঠাকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সম্লেলনে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ম্যাক্স হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

 

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী