সারা বাংলা

বোনের চক্রান্তে পিতৃ পরিচয় সংকটে ভাই!

সৎ বোনের কূট চক্রান্তে পিতৃ পরিচয় হারাতে বসেছেন পিরোজপুরের দুলাল মিয়া (৫৫)। একই সাথে বাবার সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হতে চলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাপলেজা ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামে বাড়ি দুলাল মিয়ার। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মৃত মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।

গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুলাল মিয়া বাদি হয়ে তার সৎ বোন শিরিনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুলাল মিয়া দীর্ঘ দিন পাথরঘাটা এলাকায় বসবাস করেন। সৎ বোন শিরিন সুযোগ বুঝে তার কোনো ভাই নাই বলে এলাকায় অপপ্রচার করতে থাকেন। অপপ্রচারের পাশাপাশি শিরিন বেগম পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করার পায়তারা চালাতে থাকেন। বিষয়টি চাচা এবং চাচাত ভাইয়েরা দুলাল মিয়াকে জানান। খবর পেয়ে দুলাল মিয়া প্রথমে চেয়ারম‌্যান-মেম্বার পর্যায়ে এবং পরে থানায় অভিযোগ দেন।

দুলাল মিয়া জানান, তার কাছে নয় নম্বর সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক পরিচয় পত্র ও ওয়ারিশ কায়েম মোকারী রয়েছে। এছাড়া বিগত ৬ সেপ্টেম্বর মোকাম মঠবাড়িয়া সহকারি জজ আদালত পিরোজপুর, দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১৬০ মামলায় দুলাল মিয়াকে ৩৬ নং বিবাদী ও শিরিন বেগমকে ৩৯ নং বিবাদী করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুলাল মিয়াকে ভাই বলে স্বীকার না করা শিরিন বেগমের এক ধরনের প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। তারা পরস্পর সৎ ভাই-বোন বলে নিশ্চিত করেন তারা।

সাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া বলেন, ‘দুলাল মিয়ার পরিচয় গোপন রাখার শর্তে শিরিন আমাকে উৎকোচ দিতে চান। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে আমি দুলাল মিয়াকে আইনের আশ্রয়ে যেতে বলি।’

দুলাল মিয়ার মা রিজিয়া খাতুন বলেন, ‘শিরিনের আচরণ মেনে নেয়া কষ্টকর। পুলিশের কাছে ওর প্রতারণা ধরা পড়বেই।’

এ বিষয়ে শিরিন বেগম বলেন, ‘দুলাল নামে কাউকে চিনি না। এরা সম্পত্তির লোভে এমন গল্প ফেঁদেছেন।’

মঠবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সত‌্যতা পেলে ব‌্যবস্থা নেয়া হবে। পিরোজপুর/মোস্তাফিজুর/সনি