সারা বাংলা

এ যেন আরেক বিআরটিএ অফিস!

পুলিশ কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাতে গিয়ে রীতিমতো অবাক। কী নেই এখানে? বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার  জন্য সব কাগজপত্র, কাগজপত্র সত্যায়িত করার জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল, যানবাহনের ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, বিভিন্ন স্কুলের সার্টিফিকেট- সবই রয়েছে; তবে সবই নকল।

এই নকল কাজকর্ম হয় একজনের মাধ্যমে; তিনি গোলাম কিবরিয়া মিজান। স্থানীয়ভাবে তিনি বিআরটিএ’র দালাল মিজান নামে পরিচিত। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তিনি এই কর্ম করে যাচ্ছেন।

সোমবার দুপুরে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর এলাকার আর. আর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় এই সব সারঞ্জাম উদ্ধার করা হয় এবং দুইজনকে আটক করে।

আটক দুইজন হলেন, সিংড়া উপজেলার গোবিন্দনগর এলাকার আবুল কালামের ছেলে হাফিজ হোসেন ও নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে হাবিবুর রহমান।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, অভিযানকালে পুলিশ দেখতে পায় দোকানের ভিতর থেকে তালা দিয়ে সেখানে কাজ চলছে। পরে ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিআরটিএ’র ভুয়া কাগজপত্র, কম্পিউটার ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুইজন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে আর আর এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম কিবরিয়া মিজান বিআরটিএ’র লোকজনের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভুয়া লার্নার লাইসেন্স ও লাইসেন্স তৈরি করে আসছেন। ঘটনার পর থেকে মিজান পলাতক। তাকে আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করে করেছে।

নাটোর বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, তিনি মিজান নামে কাউকে চেনেন না। বিআরটিএ’র কাগজপত্র মিজানের কাছে কীভাবে এলো এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। নাটোর/আরিফুল ইসলাম/বকুল