সারা বাংলা

ফরিদপুরে চার সহস্রাধিক গরু এলএসডিতে আক্রান্ত

ফরিদপুরে গত আড়াই মাসে লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়েছে চার হাজারের বেশি গরু। এরইমধ্যে দশটি গরু মারা গেছে।

ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, হঠাৎ করে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রকোপ বৃদ্ধির পর খামারিদের সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। বর্তমানে এ রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জেলার নয় উপজেলায় এ রোগে আক্রান্ত গরু ৪ হাজার ১৯৫টি।

বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের বাইখির গ্রামের পশু খামারি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, তার সাতটি গরু রয়েছে। তার মধ্যে দুটি গরুর এলএসডি হয়েছিল। সময়মতো চিকিৎসা করায় রোগমুক্ত হয়েছে গরু দুটি।

ফরিদপুর সদরের টেপাখোলা এলাকার খামারি মুরাদ হোসেন বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ে বেশ আতঙ্কে আছি। কারণ, একটি গরুর এ রোগ হলে অন্যগুলোও আক্রান্ত হবে।

ফরিদপুরের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. নূরুল্লাহ মো. আহসান জানান, তিন মাস ধরে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে খামারি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকতাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, প্রতিবছর দেশের বাইরে থেকে যে পশুগুলো দেশে আসছে, তাদের শরীর পরীক্ষা না করার কারণেই ভাইরাসজনিত রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে।

ডা. নূরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, অপরিষ্কার স্থান, নোংরা খাবারপাত্র, এমনকি মশা-মাছির মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।

ওই পশু চিকিৎসক আরো বলেন, এ রোগে মৃত্যুর হার কম হলেও ঝুঁকি বাড়ছে। এ রোগে আক্রান্ত হলে পশুর চামড়া অনেকটাই অকার্যকর হয়ে যায় এবং দুধ উৎপাদন কমতে থাকে। ফরিদপুর/টিটো/রফিক