সারা বাংলা

রমেক হাসপাতালে ৮ দিনে ২৪ শিশুর মৃত্যু

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮ দিনে ২৪ শিশু মারা গেছে। সেই সাথে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন একজন পুরুষ ও একটি শিশু।

আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বর্তমানে ২৬ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাদের দাবি ওইসব শিশু শীতজনিত নয়, অন্যান্য কারণে মারা গেছে।

রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ দু’জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন শিশু। মৃতরা হল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাবর আলীর সাড়ে ৩ বছরের কন্যা সাবিহা এবং একই জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইলছপুর গ্রামের ছিদ্দিকুল ইসলামের ছেলে আলম (৩৫)। আগুন পোহানোর সময় এই দুই জনেরই শরীরের ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে বর্তমান চিকিৎসাধীন ২৬ জন অগ্নিদগ্ধদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ হামিদ জানান, আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধদের মধ্যে বার্ন ইউনিটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬ জন। দু’জন বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম ৮ দিনে ২৪ জন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই সব শিশু শীতজনিত রোগে মারা যায়নি। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’

এদিকে বৃহস্পতিবার কিছু সময়ের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠান্ডার মাত্রা কমেনি। ঠান্ডার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান জানান, বুধবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি। আর পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ছিল ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আরও তাপমাত্রা কমতে পারে। সাথে থাকতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।  রংপুর/হাকিম মাহি