সারা বাংলা

জনির একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন

যখন একটি ১০/১২ বছরের কিশোরের হইহুল্লোড় করে গ্রাম মাতানোর কথা, সেসময়ে ছেলেটি বাঁশের লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করছে। বাবা অর্থের অভাবে ছেলেকে কিনে দিতে পারেনি একটি হুইল চেয়ার। বলছি প্রতিবন্ধী জনি আহম্মেদের কথা।

জনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামের দিনমজুর জয়নালের ছেলে।

জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী জনি আজমপুর জনসেবা প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আগামী বছর সমাপনী পরীক্ষায় সে অংশ নেবে। হুইল চেয়ার না থাকায় বাঁশের লাঠিতে ভর দিয়েই চলাফেরা করতে হয় জনিকে। দুই পায়ের হাঁটুতে পুরোপুরি ভর দিয়ে চলতে অক্ষম।

জনির বাবা জয়নাল বলেন, ‘জনির পড়াশোনা করার খুব আগ্রহ। এই অদম্য ইচ্ছা তাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। কয়েক বছর হলো বিদ্যালয়ের ভ্যানে করে তাকে স্কুলে আনা-নেয়া করা হয়। আমার হুইল চেয়ার কিনে দেয়ার সামর্থ্য নেই। একটা হুইল চেয়ার হলে খুব ভালো হয়।’

জনসেবা প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেরেবুল ইসলাম বলেন, ‘জনি ছাত্র হিসেবে মোটামুটি ভালো। আমার বিদ্যালয় থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জনির বাড়ি। তারপরেও সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে। যেখানে জনির মতো আরো অনেক শিক্ষার্থী আছে, যাদের আমরা বিদ্যালয়ে আনতে পারি না। তাই এসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারের বিশেষ নজর দেয়া দরকার। তাহলেই তারা এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভালো কিছু করতে পারবে।’ কুষ্টিয়া/হাকিম মাহি