সারা বাংলা

কৃষকদের অভাবের সুযোগ নিচ্ছেন ভাটা মালিকরা

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে।

কৃষকদের অভাবের সুযোগে এসব মাটি কিনে নিয়ে ইট তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মাটির উপরিভাগের ১০-১৫ ইঞ্চির মধ্যে উর্বরতা শক্তি থাকে। তাই এসব মাটি খুঁড়ে বিক্রি করার ফলে তা পুনরায় ফিরে আসতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর বারবার মাটি নিলে এসব জমিতে ফসল উৎপাদন আর সম্ভব হবে না।

এদিকে রায়গঞ্জ উপজেলায় ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একাধিক ইট ভাটা। এ উপজেলাতেই রয়েছে ৬৭টি ইটভাটা।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার পরপরই ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। আর এসব মাটি ট্রাকে ও ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়।

বৈকন্ঠপুর গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘ইটভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য একশ্রেণির দালাল চক্র গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের মাটি বিক্রি করতে উৎসাহ দেয় এবং স্বল্পমূল্যে উপরিভাগের এসব মাটি কেটে  নিয়ে যাচ্ছে।’ 

জমির মাটি বিক্রি করেছেন আমজাদ আলী নামে এক কৃষক। তিনি বলেন, ‘আমরা চাষাবাদ করে খাই। নগদ টাকা পাচ্ছি বলে মাটি বিক্রি করছি। কিন্তু এতে ক্ষতি হবে কি না জানি না।’ 

জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,‘কৃষক লাভের আশায় মাটি বিক্রি করছে। আমাদের কিছু করার নেই। ভাটা মালিকরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে তো কিনছে না। মৌসুমী মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা মাটি কিনছেন।’

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীমুর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অবাদি জমিতে মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। যারা আবাদি জমিতে এখনো মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অদিত্য/ইভা