সারা বাংলা

যশোর হাসপাতালে তীব্র ওষুধ সংকট

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এমএসআর দ্রব্য ক্রয়ে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ফলে হাসপাতালে ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না।

সূত্র জানিয়েছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। সিপ্রোসিন, সিপ্রোক্সিন, আইভি স্যালাইনসহ যে সকল মূল্যবান ওষুধ হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীদের দেয়া হয়, তা তারা পাচ্ছেন না। ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। অ্যান্টিবায়োটিকসহ যে ওষুধ টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করা হতো তার সংকট দেখা দিয়েছে।

সংকটের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, সময় মতো টেন্ডার আহ্বান না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করার জন্যে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ পাওয়ার পরও কোনো টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ওষুধ, গজ ব্যান্ডেজ, লিলেন, রি-এজেন্ট (কেমিকেল), যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র খাতে আহ্বান করা হয় এমএসআর টেন্ডার। প্রতিবছর শেষের দিকে টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং নতুন বছরের প্রথম দিকে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োগকৃত ঠিকাদার রোগীদের জন্য হাসপাতালে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও অন্য মালামাল সরবরাহ করেন। কিন্তু গত বছর নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে এমএসআর দ্রব্যাদি ক্রয় বাবদ টেন্ডার আহ্বান না করার ফলে হাসপাতালে এসব ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র ইডিসিএল লিঃ থেকে সরবরাহকৃত ওষুধ দিয়ে রোগীদের সামাল দেয়া হচ্ছে। এতে ওষুধ না পেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা গরিব-দুস্থ রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এদিকে, ওই পদে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায়কে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তিনি এখনো যোগদান করেননি। আগামী ২০ অথবা ২১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়কের যোগদান করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সাবেক তত্ত্বাবধায়কের অবসরে যাওয়া এবং নতুন তত্ত্বাবধায়কের যোগদানে বিলম্বের কারণে টেন্ডার আহ্বানে দেরি হচ্ছে। নতুন তত্ত্বাবধায়ক এসে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করবেন। তখন ওষুধ সংকট কেটে যাবে।’

 

যশোর/মাহি