সারা বাংলা

বোম্বাই মরিচে লাখ টাকা

আবুল হোসেন গাজী ৯ শতাংশ জমিতে বোম্বাই মরিচের চাষ করেছেন। ১২ শতাংশ জমিতে লাগিয়েছেন কাঁচা মরিচ। ফলন হয়েছে ভালো। শুধু বোম্বাই মরিচ বিক্রি করে এ বছর তিনি আয় করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকা। কাঁচা মরিচ বেচে আয় হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত আজিজ গাজীর ছোট ছেলে আবুল গাজী। তাদের পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তার বাবাও বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর ধান চাষ শুরু করেন আবুল গাজী। কয়েক বছর ধান চাষ করে তেমন লাভবান হতে পারেননি তিনি। পরে শুরু করেন সবজি চাষ। ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, বেগুনসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হন। এ বছর বড় ভাই সুলতান গাজীর পরামর্শে সবজির পাশাপাশি অধিক লাভের আশায় করেন মরিচ চাষ। ২১ শতাংশ জমিতে চাষ করেন বোম্বাই আর কাঁচা মরিচ। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর তিনি শুধু বোম্বাই মরিচ বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকার। কাঁচা মরিচ থেকে আয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। ফুলকপি, বাধাকপি ও শিম বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। সব মিলিয়ে সবজি চাষ করে আবুল হোসেন গাজীর আয় হয়েছে ৩ লাখ টাকা। এ আয়ে বেশ ভালোভাবে চলছে তার সংসার।

আবুল গাজী জানান, পাইকাররা তার বাড়িতে এসে মরিচ কিনে নিয়ে যান। প্রতি মাসে চার বার বোম্বাই মরিচ বিক্রি করেন তিনি। খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন না থাকায় মরিচ চাষে খরচ কম। এ অঞ্চলের প্রথম এবং সফল সবজি চাষী সুলতান গাজীর নিয়মিত পরামর্শসহ স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতা পাচ্ছেন তিনি। তাকে দেখে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অনেক সবজি চাষি শুরু করেছেন বোম্বাই মরিচের চাষ। স্থানীয় চাহিদার চেয়ে বেশি বোম্বাই মরিচ উৎপাদন হওয়ায় অতিরিক্ত মরিচ চলে যাচ্ছে বরিশাল শহরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, এ বছর এ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে বোম্বাই মরিচের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আবুল গাজীর জমিতে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ যদি ভালো জাতের বোম্বাই মরিচ চাষ করতে পারেন, তাহলে সরকারিভাবে জাপানে রপ্তানির সুযোগ হতে পারে।

 

কলাপাড়া/ইমরান/রফিক