সারা বাংলা

অবৈধভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পারকালুপুর পনেররশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠেছে।

এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শিক্ষক ও অভিভাবকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে- গোপনে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করে এসএমসি ছাড়াই গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক একরামুল হক তার স্ত্রী মোসা. মোস্তারী  খাতুনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এর প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে এক মামলা করা হয়।  মামলা চলমান থাকা স্বত্বেও অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করে মোসা. মোস্তারী খাতুনকে নিয়োগ দেন। যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নাচোল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (ডিজির প্রতিনিধি) পরীক্ষা ছাড়াই এক ঘরে বসে নিয়োগ পরীক্ষার সব কাগজে স্বাক্ষর করেন।

ফলে চলমান মামলটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তারী খাতুনের এমপিওভূক্তি বন্ধের আবেদন করেন। অভিযোগকারী জানান, গত বছরের ২৭ জুলাই সুকৌশলে এক পত্রিকায় গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ওই পত্রিকাটি এলাকায় সার্কুলেশন নেই বলে জানা যায়।

শিক্ষকদের অভিযোগ- ওই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর আগে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা মোসা. আরিফা খাতুনের টাইম স্কেল গত ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে। ওই শিক্ষিকা তার টাইম স্কেল চালুর জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।

এই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তের জন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে- আবেদনপত্রের বাদী-বিবাদী একই পরিবারের সদস্য। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে প্রধান শিক্ষক তার টাইম স্কেল আটকে রাখে। কিন্তু ক্ষমতার দাপটে অদ্যবধি ওই সহকারী শিক্ষিকার টাইম স্কেল দেননি প্রধান শিক্ষক।

আনিত অভিযোগ দুটির বিষয়ে পারকালুপুর পনেররশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এশরামুল হক জানান, বৈধভাবেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুমতিক্রমেই স্কুল কমিটি তার স্ত্রী মোসা. মোস্তারী খাতুনকে নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়া টাইম স্কেলের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি জানান, বিদ্যালয়ের জমি দেয়া নেয়াকে কেন্দ্র করেই টাইম স্কেল বন্ধ রাখা হয়েছে।  মিমপা/বুলাকী