সারা বাংলা

এক চিকিৎসকে চলছে পুরো বার্ন ইউনিট

রংপুর মেডিক‌্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ১০ চিকিৎসকের মধ্যে এখন এক চিকিৎসকই ভরসা।

কারণ ১০ পদের মধ্যে নয় পদই শূন্য রয়েছে।

সাত চিকিৎসক ও তিন অধ্যাপক ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও একজন চিকিৎসক ও কিছু শিক্ষানবিশদের দিয়ে চলছে এই বিভাগটি। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে (৩৭নং ওয়ার্ড) চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। এই ওয়ার্ডে চিকিৎিসাধীন পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে মাত্র একজন চিকিৎসক। এছাড়া কিছু শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আর আয়ারা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। ফলে গুরুতর আহত রোগীরা এখানে সঠিক পরিচর্চা পান না।

এছাড়া, চলতি শীত মৌসুমে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এই ইউনিটে এখন পর্যন্ত আট নারী ও দুই শিশুসহ মারা গেছেন ১৩ জন। এখনো চিকিৎসাধীন আছে ২৫ জন। ফলে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এদিকে বার্ন ইউনিটের কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বার্ন ইউনিটে ভালো সেবা নেই। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কিছুই দেয়া হয় না। তবে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এসে মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নিয়ে যান। এছাড়া এখানে বাড়তি কিছু আশা করা যায় না।’

তবে এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র চিকিৎসক এম.এ হামিদ পলাশ হাসপাতালে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন বলে জানিয়েছেন রোগীরা।

বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম.এ হামিদ পলাশ বলেন, ‘মোট ১০ পদ থাকলেও এখানে শুধু আমি একাই কাজ করছি। তবে মাঝে মধ্যে আন-অফিসিয়ালি আরেকজন ডাক্তার এসে কাজ করেন। আমরা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্যই সবসময় কাজ করছি। প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়া ও নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’

রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, বার্ন ইউনিটের শূন্য পদে পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানো হয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুত শূন্যপদগুলোতে পদায়ন করা হবে।

 

রংপুর/নজরুল/বুলাকী