সারা বাংলা

শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙছে কুষ্টিয়ার গড়াই

শুষ্ক মৌসুম। গড়াই নদীতে পানিপ্রবাহ সামান্যই। তবু ভয়াবহ ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে হেলালপুর আশ্রয়ন প্রকল্প।

বিপন্ন হতে যাওয়া এ আশ্রয়ন প্রকল্পটি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। ভাঙনের আতঙ্ক এখন আশ্রয়ন প্রকল্পটির আশপাশের জনপদেও।

পূর্ব থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এখানে প্রতিরক্ষা গ্রোয়েনও করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেটিও এখন বিপন্ন হতে চলেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর তীর সংলগ্ন ইটভাটার মাটি কাটার কারণে এই ভাঙনের সৃষ্টি।

হেলালপুর সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে আকস্মিক গড়াই নদীর পার ভেঙে আমরা এখন বিপন্নের মুখে। এখানে ৩৫টি পরিবার এখন উদ্বাস্তু। প্রতিবছর নদীর ভিতরে এবং সংলগ্ন তীর থেকে ইটভাটার মাটি উত্তোলনের কারণে সৃষ্টি হয়েছে এই ভাঙন।’

সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তীব্র ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। তবে আক্রান্ত স্পটটি রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা জরুরী মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে আক্রান্ত স্থান থেকে ইটভাটার মাটি উত্তোলন বন্ধেও উদ্যোগ নেবে বলে জানায় প্রশাসন।

ঘটনাস্থলে জরুরী বালির বস্তার ডাম্পিং কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই ভাঙনে এরই মধ্যে প্রায় ৫০০মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একদিকে নদীর মাঝখানে চর জেগে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সেখান থেকে প্রবাহমুখের দিক পরিবর্তন, অন্যদিকে নদী তীর থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে নীচু হয়ে যাওয়ায় পানি ঢুকে এই স্থানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জায়গাটি পূর্ব থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো বলে এখানে একটা গ্রোয়েনও করা হয়েছিল। সেটাও এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’

খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা বলেন, ‘গড়াই নদীর পার ভেঙে আশ্রয়ন প্রকল্প, খোকসা শহর রক্ষাবাঁধসহ জনপদ চরম ঝুঁকির মুখে পড়ায় তাৎক্ষণিক ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। সেখান থেকে যাতে আর কেউ অপরিকল্পিত মাটি খনন বা উত্তোলন করতে না পারে সে পদক্ষেপও নেয়া হবে।’

 

কাঞ্চন/টিপু