সারা বাংলা

হঠাৎ জ্বরে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু, আতঙ্ক

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় হঠাৎ জ্বরে একই পরিবারের দু’জন মারা গেছে।

এরা হলো- জসলদিয়া গ্রামের মীর সোহেলের ছেলে মীর আব্দুর রহমান (৩) ও তার চাচি শামীমা বেগম (৩৪)।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে গ্রামবাসীর মধ‌্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে করোনা ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ জ্বরে শামীমা বেগম মারা যান। এর ১৮ ঘণ্টা পরে আব্দুর রহমান মারা যায়।

শামীমা বেগমের দেবর মীর শিবলী জানান, রোববার সকালে হঠাৎ ভাবির জ্বর আসে। একই সঙ্গে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল ছোপ দেখা দেয়। জ্বর আসার ঘণ্টা খানেক পর তিনি মারা যান।

পরে ভাতিজা আব্দুর রহমানের জ্বর আসে। সেও জ্বর আসার ঘণ্টা খানেকের মধ‌্যে মারা যায়। তার শরীরেও লাল র‌্যাশ বের হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়েছিলাম।  ঢাকায় নেওয়ার সুযোগ পাইনি। রোববার বিকেলে ভাবিকে দাফন করি। সোমবার দুপুরে দাফন করি ভাতিজাকে। তারা কোন রোগে মারা গেল বুঝতে পারছি না।  প্রশাসনের লোকজন ও ডাক্তাররা এসেছিলেন। কিন্তু কোন রোগে তারা মারা গেলে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।

লৌহজং উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, সোমবার সকালে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই।  চীনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যেতে পারে ভেবে কেউ কেউ আতঙ্ক প্রকাশ করেছে। কিন্তু স্থানীয় ডাক্তাররা আমাকে জানিয়েছে, মরদেহে যে সকল লক্ষণ দেখতে পেয়েছে তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার সম্ভাবনা নেই। আসলে ওই বাড়ির পাশে জশলদিয়া পানি শোধনাগারে কিছু চীনের লোক কাজ করে। এছাড়া, পদ্মা সেতু প্রকল্পেও চীনারা কাজ করছে। সে কারণে এমন আতঙ্ক ছড়াতে পারে।

মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডাক্তারদের একটি টিম নিহতদের বাড়িতে গিয়েছে। তবে আমাদের যা মনে হয় তাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার কথা নয়। কারণ, ১৪ দিনের মধ্যে কেউ চীন থেকে আসেনি। রতন/ইভা