মৌলভীবাজার পৌর শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কের দোতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এই ভবনের নিচতলায় ছিল ‘পিংকি সু স্টোর’। এই দোকানে আগুনের সূত্রপাত।
পিংকি স্টোরের স্বত্বাধিকারী নিহত সুভাষ রায়ের মেয়ের বৌভাত ছিল সোমবার। ২২ জানুয়ারি মৌলভীবাজার পৌর শহরের কলিমাবাদ এলাকায় পিংকির বিয়ে হয়। বৌভাতে যোগ দিতে হবিগঞ্জ থেকে সপরিবারে আসেন দীপা রায় (৩৫)। দু-একদিনের মধ্যে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।
মঙ্গলবার সকালে পিংকি স্টোরে লাগা আগুনে অন্যান্য স্বজনদের সঙ্গে মারা গেছেন দীপা রায় এবং তার আড়াই বছর বয়সী মেয়ে বৈশাখী রায়। বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই পরিবারে নেমে এসেছে শোক। তাদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা।
পিংকি স্টোর দোকানের উপরের বাসায় আত্মীয়দের সঙ্গে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন দীপা রায়। আগুন লাগার পর বাসার অন্য সদস্যদের মতো তারাও সেখানে আটকা পড়েন। প্রাণ বাঁচাতে তার ছেলে বেরিয়ে আসতে পারলেও মেয়ে বৈশাখীকে নিয়ে বের হতে পারেননি দীপা রায়। অন্য তিনজনের সঙ্গে তাদেরও মৃত্যু হয়।
দীপা রায়ের আত্মীয় কল্প রায় জানান, দীপার স্বামী সজল রায়ের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের উমেদনগরে। সজল-দীপার দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্যরা হলেন, পিংকি সু স্টোরের মালিক সুভাষ রায় (৬৫), তার মেয়ে প্রিয়া রায় (১৯) ও ভাইয়ের স্ত্রী দীপ্তি রায় (৪৮)।
সাইফুল্লাহ/বকুল