সারা বাংলা

ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, যবিপ্রবির শিক্ষককে মারধর

শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে মারধর করেছেন ছাত্রীর অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে যশোর শহরের পালবাড়ী মোড়ে তাকে মারধর করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর শেষে ফিরছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যশোর কোতয়ালি থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছেন। এরপর এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত টিম গঠন করবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে যবিপ্রবির ওই বাস পালবাড়ী মোড়ে এসে  পৌঁছালে কিছু শিক্ষার্থী সেখানে নামেন। তখন তিন যুবক বাস থেকে এক শিক্ষককে নামিয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের নিবৃত্ত করেন। পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাস নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিযুক্ত ড. শিমুল সাহার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে লাইন কেটে দেন।

বাসে থাকা একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নিউজ করার কিছু নেই। বিষয়টি মীমাংশা হয়ে গেছে।’’

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মেয়ের সম্মানহানির কথা জানিয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ২২ শিক্ষার্থীকে নিয়ে নরসিংদীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে গিয়েছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শিমুল সাহা ও সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে শহরের পালবাড়ী মোড়ে এক মেয়ে শিক্ষার্থীর ভাই ও বন্ধুরা শিক্ষক শিমুল সাহাকে লাঞ্ছিত করেন। তাদের অভিযোগ,  ওই শিক্ষক বাসের মধ্যে তাদের বোনের শ্লীলতাহানি করেছেন। মারধরের ঘটনায় রাতে থানায় জিডি করা হয়েছে।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, আসলে কী ঘটেছে সেটা পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. আনিসুর রহমান জানান, যেহেতু একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠছে, এর সত্যতা জানতে শনিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, আর যদি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রিটন/বকুল