সারা বাংলা

সাগরে ট্রলারডুবি: ৯ জনের লাশ হস্তান্তর

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিকটবর্তী সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে নয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৩৮ জনের মধ্যে অন্তত ৫০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেরা সাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে।

টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে পরিচয় শনাক্ত হওয়া নয়জন রোহিঙ্গার লাশ বিকেল ৩টায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে অপর ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি।

মঙ্গলবার সকালে সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী সাগরে মালয়েশিয়াগামী ১৩৮ জন রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড,  নৌবাহিনী ও স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ১৫ জনের মৃতদেহ এবং জীবিত অবস্থায় ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার ভোর রাতে সেন্টমার্টিনের নিকটবর্তী সাগর থেকে এক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

প্রদীপ কুমার বলেন, লাশের পরিচয় শনাক্ত হওয়া নয়জন রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।

ওসি বলেন, ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলে কক্সবাজার পৌরসভার তত্ত্বাবধানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট নাঈম-উল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারও ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১৩৮ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে সাগরে কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহলদলের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহলদল রয়েছে।

কোস্টগার্ডের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলেদের নিখোঁজদের সন্ধানে সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

সুজাউদ্দিন/বকুল