গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস ও ইঞ্জিনচালিত নসিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচ নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়ছেন আরো ১০ জন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার পোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলার তিতা গ্রামের রাফিক মোল্যার ছেলে বদিউজ্জামান (৫০), একই গ্রামের বেলায়েত মুন্সীর ছেলে সুমন মুন্সী (৩০), বজলু ফকিরের ছেলে মিজান ফকির (৫০), আজিরন ফকিরের ছেলে লায়েক ফকির (৫০) ও আবি মোল্যার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৫)।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, ১৫ জন নির্মাণশ্রমিক নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নসিমন কাশিয়ানী যাচ্ছিল। পথে পোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে ঢাকাগামী ফালগুনী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুই নির্মাণ শ্রমিক মিজান ও সুজন নিহত হন। আহত হন অপর ১৩ জন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে বদিউজ্জামান নামে আরো এক শ্রমিক মারা যান।
আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সিরাজুল ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লায়েক ফকির মারা যান। বাকি আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগীতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বাদল সাহা/মাহি/সনি