সারা বাংলা

গৃহবধূর গায়ে আগুন দেয়ার অভিযোগ

বগুড়ায় এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর তার শরীরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকাল ১১টায় ওই গৃহবধূকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বগুড়া শহরের কলোনী চকফরিদ এলাকার খন্দকার পাড়ায় ডেকোরেটর শ্রমিক মো. আলম হোসেনের মেয়ে সানিয়া আক্তার আইভির (২০) বিয়ে হয় গাবতলী উপজেলার মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর থেকে তারা বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনীর চকলোকমান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাঝেমধ্যেই আইভির ওপর নির্যাতন চালাতেন রফিকুল। যৌতুকের দাবিতে মারপিট করতেন। এসব ঘটনায় ২০১৭ সালে নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন আইভি। মামলা তুলে না নেয়ায় শনিবার রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করেন। ব্লেড দিয়ে আইভির শরীরের কয়েকটি স্থানে জখম করেন এবং মাথার চুল কেটে দেন রফিকুল। পরে রফিকুল ও তার বন্ধু আইভির শরীরে দাহ‌্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন এবং ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান জানান, আইভি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তাকে তার স্বামীর বন্ধু ধর্ষণ করেছেন। পরে তার গায়ে দাহ্য পদর্থ ঢেলে আগুন দেন স্বামী ও স্বামীর বন্ধু। তিনি তার স্বামীর বন্ধুর নাম বলতে পারেন না। আলামত হিসেবে কাটা চুল পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে রফিকুল ইসলাম ও তার বন্ধু পলাতক আছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

নির্যাতিত গৃহবধূর মামা আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। নারী নির্যাতন মামলা তুলে না নেয়ায় এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন রফিকুল ও তার বন্ধু। বগুড়া/আখতারুজ্জামান/রফিক