সারা বাংলা

২১ বছর ধরে রাজাকারের নামে কলেজ

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ২১ বছর ধরে একটি কলেজের নাম স্থানীয় একজন রাজাকারের নামে রয়েছে। দীর্ঘদিনেও নাম পরিবর্তন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা।

প্রশাসন বলছে, কোনোভাবেই রাজাকারের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থাকতে পারে না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কলিম উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় ‘শান্তি কমিটির’ চেয়ারম্যান ছিলেন। তার সহযোগিতায় পাক বাহিনী এলাকায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতন চালায়। দেশ স্বাধীনের পর কলিম উদ্দিনের মৃত্যুও হয় গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে।

তার নামে ১৯৯৯ সালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফতেপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ফতেপুর কলিম উদ্দিন কলেজ’। তখন মুক্তিযোদ্ধারা এর প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু তাদের কথা আমলে নেয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা অনুল্য প্রামাণিক, আশরাফুল ইসলাম, এরশাদ হোসেন জানান, কলিম উদ্দিন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নেতৃত্বে এক দিনেই ২৮ জন নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়।

‘‘কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ার সময় আমরা বাধা দিয়েছিলাম, কিন্তু তখন পেরে উঠিনি।’’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেবসহ কয়েকজন কলেজটির নাম বদলে ‘এলাকার নামে’ নামকরণ করার দাবি জানান।

কলেজটির অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন বলেন, এ সবের কোনো কিছু তার জানা নেই। যদি কলিম উদ্দিন যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকে, তবে তার নাম পরিবর্তন করা হোক; এটি তিনিও চান।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ বলেন, রাজাকারের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম থাকতে পারে না। দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। ঢাকা/বকুল