সারা বাংলা

নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইউপিডিএফের কর্মী নিহত

রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের (প্রসীত) কর্মী অর্পণ চাকমা নিহত হয়েছেন।

বুধবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত অর্পণ চাকমা নানিয়ারচরের উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান হত্যা মামলার আসামি।

নিরাপত্তাবাহিনী সূত্র জানায়, রাঙামাটি জোনের আওতাধীন শুভলং ক্যাম্পের নিয়মিত টহল দল হেলিকপ্টার থেকে মাইসভাঙা এলাকায় অবতরণ করলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবর্ষণ শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করতে থাকে।

প্রায় ১৫-২০ মিনিট গুলি-পাল্টাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং তল্লাশি চালায়।

এ সময় একজন সন্ত্রাসীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে ব্যাগে রক্ষিত মোবাইল ফোন, চাঁদার রশিদ ও অন্যান্য ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে অত্যাধুনিক একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র, বেশ কিছু পিস্তলের গুলি, এলজির কার্তুজ এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

অর্পণ চাকমা ওরফে বাবুধন চাকমা ইউপিডিএফের (মূল) সশস্ত্র শাখার সদস্য। তিনি ২০১৮ সালের ০৩ মে নানিয়ারচরে সংঘঠিত চাঞ্চল্যকর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার এসআই আল আমিন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অর্পণ চাকমা নিহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, তিনি ইউপিডিএফের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

এদিকে, অর্পণ চাকমা‌কে ‘হত্যা’ করা হ‌য়ে‌ছে দাবি করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা আজ বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন। এতে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা, অন্যায় দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।

 

বিজয় ধর/বকুল