সারা বাংলা

কানসাটে বিদ্যুৎ অফিসে তাণ্ডবের ৭ বছর

কালের সাক্ষী হয়ে আছে কানসাটে তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদরদপ্তর।  

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সেখানে আগুন দেয় জামায়াতে ইসলামি এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত তিনটি মামলায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সংশ্লিষ্টরা। আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ চলমান থাকায় বিচার দ্রুত শেষ হবে- এমনটা আশাবাদ ব্যক্ত করেন সরকারপক্ষের আইনজীবী।

এক সময় কানসাটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদরদপ্তর ছিল। নতুন করে রঙয়ের প্রলেপে দেয়ালের দাগগুলো মুছে গেলেও, সেদিনের তাণ্ডবের দৃশ্য মনে করে অনেকে এখনো শিহরিত হন। ওই সময় তাণ্ডব চলে জেলার বিভিন্ন স্থানেও। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুদ্ধাপরাধের মামলায় দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ায় ওইদিন কানসাটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদরদপ্তরে ভাঙচুর এবং পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের প্ল্যান্ট, ট্রান্সফরমার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এই হামলা এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তৎকালীন এজিএম রেজাউল করিম বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ডের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হলে, ভবিষ্যতে এ ধরনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করতে কেউ সাহস পাবে না।

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদরদপ্তর জেলা শহরের নয়াগোলায় স্থাপিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর নাজমুল আজম বলেন, এ মামলায় সাত বছরে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে এবং ২০ জন সাক্ষ্য দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ঢাকা/বকুল