সারা বাংলা

খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৫, তদন্ত কমিটি গঠন

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গার গাজীনগর এলাকায় বিজিবি-গ্রামবাসীর মধ্যে কাঠ পরিবহন নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

নিহতরা হলো- বিজিবি’র পলাশপুর জোনের সিপাহী মো. শাওন, গ্রামবাসী সাহাব মিয়া, তার দুই ছেলে আহমদ আলী ও আলী আকবর এবং অপর গ্রামবাসী মফিজ মিয়া।

এছাড়া দুই ছেলে ও স্বামীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এ ঘটনায় হানিফ মিয়া নামে এক গ্রামবাসী চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যুৎ লাইনের জন্য কাটা পড়া গাছ ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন আহমদ আলী। গাজীনগর এলাকায় পৌঁছলে বিজিবির পলাশপুর জোনের একটি টহল দল ট্রলি আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ নিয়ে বিজিবি ও গ্রামবাসীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা গ্রামবাসীদের লক্ষ‌্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই বিজিবি সদস্য শাওন, সাহাব মিয়া, আহমদ আলী ও আলী আকবর নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় মফিজ মিয়া।

বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষে বিজিবির পক্ষ থেকে গুলি ছোঁড়া এবং বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠলেও বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দুই গ্রামবাসীকে আটক করেছে। তাদের নাম জানানো হয়নি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আব্দুল আজিজ, গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন।

মাটিরাঙ্গা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম জানান, বিজিবি-গ্রামবাসী সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধিকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেয়ার আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না।

নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বলে জানান প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। বিজয়ধর/সনি