সারা বাংলা

আলতাদিঘীতে অবমুক্ত হলো পরিযায়ী পাখি ‘চখাচখি’

মুজিববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় পরিযায়ী পাখি ‘চখাচখি’ অবমুক্ত করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার এম.পি।

শনিবার (০৭ মার্চ) দুপুর ২টায় ধামইরহাটের দুইশত বছরের প্রাচীন শালবনবেষ্টিত আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে ২৯টি ‘চখাচখি’ অবমুক্ত করা হয়।

পাখিগুলো রাজশাহীর পদ্মার পাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো। রাজশাহীর বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান, ও বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির শিকারিদের নিকট থেকে এই পাখিগুলো জব্দ করেন।

বিরল প্রজাতির এই পরিযায়ী পাখিগুলো নদীর চরে থাকতে ভালবাসে জানিয়ে ধামইরহাটের বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, পাখিগুলো দেখতে খয়েরি ও দেশি প্রজাতির হাঁসের মতো। মূলত এই পাখিগুলো বাংলাদেশে আসে শীতকালে। আবার শীত ফুরালে তারা সাইব্রেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়।

পরিযায়ী পাখিগুলো অবমুক্ত করার পর মো. শহীদুজ্জামান সরকার এম.পি জানান, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান সকল পাখিদের বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ স্থান। এখানে পাখি শিকারীদের কোন স্থান নেই। পাখিরা এখানে প্রকৃতির মাঝে বেড়ে উঠবে। আর এখানকার মানুষগুলো প্রকৃতিপ্রেমী। প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধন এবং পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণে তারা এ পাখিগুলোকে পাহারা দেবেন।

এ সময় নওগাঁর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদিজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, ইউএনও গনপতি রায়, ওয়ার্ল্ডলাইফের ফরেস্টার আশরাফুল ইসলাম, বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, পত্নীতলার জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সুমন কুমার শীল, সম্পাদক মাসুদ রানা,  জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

 

অরিন্দম/বুলাকী