হত্যা মামলার আসামি তিনি। অনেকদিন ধরেই পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে আসছিল। কোনো কূলকিনারা করতে পারছিল না। কিন্তু বাবা অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালে রক্ত দিতে যেতে হয় তাকে। অথচ রক্ত দেওয়ার আগেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃত এমদাদ হোসেন (২৩) চট্টগ্রামের এক হত্যা মামলার আসামি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৪ মার্চ) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে ছেলে (আসামি) বাবাকে রক্ত দিতে না পারলেও গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর নিজেই রক্ত দিয়েছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের আকবর শাহ থানার এসআই বদিউল আলম মুন্না।
বদিউল আলম রাইজিংবিডিকে জানান, আকবরশাহ থানাধীন কৈবল্যধাম রেললাইন সংলগ্ন রশিদের কলোনিতে গত ২৫ অক্টোবর খুন হন জসিম উদ্দিন। এই হত্যাকাণ্ডের ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আসামি এমদাদ হোসেন ছিলেন শুরু থেকেই পলাতক। অনেকদিন ধরেই তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল। শনিবার এসআই বদিউল গোপন সূত্রে জানতে পারেন এমদাদ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করছেন। খবর পাওয়ার পর এসআই বদিউল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের সমন্বয়ে দ্রুত অভিযান চালায়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় এমদাদকে।
গ্রেপ্তারের পর এমদাদ পুলিশকে জানান, তার বাবা মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বাবাকে এক ব্যাগ ও-পজিটিভ রক্ত দেওয়ার জন্য মেডিক্যালে এসেছিলেন।
এসআই বদিউল আলম মুন্না রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হত্যা মামলার আসামি হলেও রক্ত দেওয়ার কথা শুনে ভেতরে মানবতাবোধ জাগে। সাথে সাথে মেডিক্যালে খোঁজ নেওয়া হয় আসামির বাবার। ঘটনার সত্যতা পেয়ে এবং রক্তের গ্রুপও একই হওয়ায় নিজেই এক ব্যাগ রক্ত দিয়েছি। ’
পরে আসামিকে থানা হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামীকাল এমদাদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চট্টগ্রাম/রেজাউল/সাইফ