সারা বাংলা

ভুয়া চিকিৎসক কারাগারে

নওগাঁর ধামইরহাটে ভুয়া এক চিকিৎসককে এক বছরের  কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় ওই চিকিৎসকের বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ওষুধ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।  

বুধবার (১৮ মার্চ) র‌্যাব-৫ রাজশাহীর অধীন জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুর রশিদ পিপিএম ঘটনার সত‌্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিসৎক হলেন— উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ভাতকুণ্ডু গ্রামের মো. সাদেক আলী মণ্ডলের ছেলে মো. রায়হান (৩২)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমেনুর রশিদ জানান, ভাতকুণ্ডু গ্রামে এসএসসি পাস করা রায়হান দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলে গোপনে খবর আসে।

তিনি জ্বিন-ভুত ছাড়ানোর নামে তার কাছে আসা রোগীদের লাঠি পেটা, লোহার তৈরি ত্রিশুল ও মনামনিসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঔষুধ ও এন্টিবায়েটিক দিয়ে থাকতেন। এভাবে অবৈধভাবে আট বছর যাবত চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছিলেন তিনি।

সর্বশেষ, এক রোগীকে চিকিৎসার নামে লাঠিপেটা করা হলে ওই রোগী অসুস্থ হয়ে যান। এ খবর প্রকাশ হলে এলাকায় কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বুধবার ওই চিকিৎসকের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

এসময় সেখান থেকে মদক, তাবিজ, গর্ভপাত ঘটানোসহ বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়। এসময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গনপতি রায় তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে রায়হানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক রায়হান বলেন, ‘আমি স্বপ্নে এসব চিকিৎসা শিখেছি। জিন-ভুত তাড়ানো, বাশলী রোগের চিকিৎসা করি। ’

এসএসসি পাস করে প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়েটিক লিখা বৈধ কিনা প্রশ্ন করলে ভুয়া চিকিৎসক কোন জবাব দেননি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক‌্যাল অফিসার ডা. আবু ইসা মো. আরাফাত ইমাম বলেন, ‘এসব ঔষুধ খেলে লিভার সিরোসিস, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় জানান, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এই ভুয়া চিকিৎসক। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা কোনোভাবেই সহ‌্য করা হবে না। এমন অভিযান অব‌্যাহত থাকবে। অরিন্দম/বুলাকী