সারা বাংলা

নওগাঁয় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৯২২ জন

নওগাঁর ১১ উপজেলার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ উপজেলায় নতুন করে ৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানা হয়েছে।

এই ২৪ ঘণ্টায় ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১০ উপজেলা থেকে মোট ৯১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান জামান।

নওগাঁর সিভিল সার্জনের দপ্তরে স্থাপিত কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪   ঘণ্টায় উপজেলা ভিত্তিক নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রানীনগরে ১০ জন, আত্রাইয়ে ৪ জন, বদলগাছিতে ২ জন, পত্নীতলায় ১ জন, ধামইরহাটে ৮ জন, নিয়ামতপুরে ৬ জন, সাপাহারে ১ জন এবং পোরশাতে ৬ জনকে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময়ে এই নতুন ৩৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৫ জন, রানীনগরে ৯ জন, আত্রাইয়ে ৯ জন, মহাদেবপুরে ১৭ জন, মান্দাতে ৮ জন, বদলগাছিতে ১৫ জন, পত্নীতলায় ৯ জন, নিয়ামতপুরে ২ জন, সাপাহারে ৬ জন এবং পোরশাতে ১ জন।

এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩শ ১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৯০ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯২২ জন।

এদিকে, নওগাঁ’র সিভিল সার্জন ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান জামান জানিয়েছেন, করোনা রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং সেবাপ্রদানের জন্য   চিকিৎসক ও নার্সদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ এসেছে। এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে পিপিই ৫০ সেট, ছোট গ্লোব ১০০ পিছ, মাঝারি গ্লোব ১০০ পিছ, বড় গ্লোব ১০০ পিছ, ৫০ এমএল হেকসাসোল ১০০ বোতল, মাস্ক ২০০ পিছ, এমওপি ক্যাপ ৫০টি, গাউন ৫০ পিছ, সু-কভার ৫০ পিছ এবং চশমা ৫০টি। এসব সামগ্রী জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতালসহ অন্য ১০ উপজেলা হাসপাতালে বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, নওগাঁয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় টিম এসেছে। সেনা সদস্যদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতসহ করোনা প্রতিরোধে যা যা করণীয় তা প্রশাসনের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে সেনাবাহিনী।

 

সাজু/বুলাকী