সারা বাংলা

বগুড়ায় করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল প্রস্তুত নয়

করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহজনক রোগীদের জন্য আইসোলেশন চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে ঘোষিত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং চিকিৎসক-নার্সদের পোষাক নেই। হাসপাতালের ভেতরে আবর্জনার স্তুপের কারণে রোগী যেতে পারেন যেকোন সুস্থ মানুষও।

বগুড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে আইসোলেশন হাসপাতাল হিসাবে ঘোষনা করা হলেও তা আইসোলেশন ইউনিটের জন্য যে সব প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকার প্রয়োজন, তার কিছুই নেই হাসপাতালে। যে একটি ডিজিটাল এক্স রে মেশিন ঢাকা থেকে পাওয়া গেছে, তাও আছে নষ্ট অবস্থায়। এই নতুন অথচ অকেজে মেশিন চালু করাও সম্ভব হয়নি। করোনাভাইরাসের শনাক্তের ল্যাবরেটরির সুযোগসুবিধা নেই।

মো. আলী হাসপাতলের তত্বাবধায়ক এ টি এম নুরুজ্জামান বলেন, ‘করোনা চিকিৎসা দেওয়ার মতো ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) নেই। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে তাতে আইসিইউ নেয়া সম্ভব হবেনা। জরুরি করোনা চিকিৎসা সেবার জন্য সেরামইলেক্টরাইট পরীক্ষা করাও যাবেনা। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কিছু শয্যা, গাউন, কয়েকটি যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষার কোন ব্যাবস্থা নেই। সুরক্ষা ছাড়া ভয়াবহ এ রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চিকিৎসকরা করোনা (কোভিট-১৯) রোগীর পাশে যাবে না।’

এ ছাড়া মো. আলী হাসাপাতালের চারপাশ ময়লার স্তুপ পরিষ্কার করা হয়নি। হাসপাতালের মাঝখানে ভাঙ্গা চেয়ার, টেবিল, রোগীদের ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত বিছানা, ট্রলির স্তুপগুলো টেন্ডার প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে সরানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন হাসপাতলের তত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান। দ্রুত চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ল্যাবরেটরির যন্ত্রগুলো যোগান দিতে হবে বলে জানান তিনি। বগুড়া/আখাতরুজ্জামান/সাজেদ