সারা বাংলা

২ ব্যক্তির মৃত্যুতে পটুয়াখালীর ২ বাড়ি লকডাউন

পটুয়াখালীতে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় সদর উপজেলার দুইটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে সদর থানা পুলিশের সহায়তায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি লাল নিশান টানিয়ে ওই বাড়ি দুটি লকডাউন ঘোষণা করেন।

পটুয়াখালী সদরে থানাল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার পটুয়াখালী শহরের জেলা কারাগার এলাকায় মাতবর বাড়ী এলাকার জনৈক আব্দুর রশিদ নামে এক ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ভাইরাল হেপাটাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ ঘরে মারা যায়। এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে মৃত ব্যক্তির করোনা নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।

শনিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। স্থানীয়রা একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে করোনা সংক্রান্ত বিধি কার্যকরের জোর দাবি জানান।

স্থানীয়দের দাবী ও পরবর্তীতে করোনা সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন তার বাড়ি লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়।

স্থানীয় নাসির মাতব্বর জানায়-নিহত ব্যক্তির বাড়ি ভোলার লালমোহনের সাতবাড়ীয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত কেরামত আলীর পুত্র।

একইদিনে, সদর উপজেলার টাউন বহালগাছিয়া এলাকার মোহম্মদ জাকির হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে আইসোলেশনে রাখা হয়। ভর্তির পরপর ওই ব্যক্তি মারা যায়। জাকির হোসেনর মৃত্যুর পর তার বাড়িও লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহম্মদ বাকিরের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মৃত জাকির হোসেন শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আইসোলেশনে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জাকির হোসেনের মৃত্যুর লক্ষণগুলো করোনা সংক্রান্ত মনে হওয়াতে তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানান, দুইটি বাড়িতে মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এবং ঝুঁকি এড়াতে প্রাথমিকভাবে ওই বাড়ি দুটি লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউন করা ওই পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।

 

বিলাস/বুলাকী