সারা বাংলা

করোনার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে এসে পালিয়ে গেল দুজন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও শহরের নগুয়া এলাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে পালিয়ে গেছে দুই রোগী।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হোসেনপুর উপজেলা থেকে কামাল হোসেন (৪০) নামে একজন রোগী সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে রোববার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।

এরপর টিকিট কেটে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক তাকে এক্সরে ও আলট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করার পর চিকিৎসক যখন রিপোর্ট লিখবেন, এই সুযোগে রোগী কামাল হোসেন দৌড়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরে হাসপাতালে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এসময় রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া তিন চিকিৎসক ও চার স্টাফকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়।

তাছাড়া হোসেনপুর থেকে আসা রোগী কামালের অবস্থান জেনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক ডা. হাফিজুর রহমান মাসুদ জানান, আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করার সন্দেহ হওয়ায় রোগী কামাল হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সকালে একই সময়ে কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার ধ্রব নামে এক যুবক শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্দি-কাশির চিকিৎসা নিতে আসে। তাকে বিশেষ পরীক্ষার জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠালে সেখান থেকে ধ্রবও পালিয়ে যায়। তবে সে করোনায় আক্রান্ত এমন কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।পরে তার অবস্থান চিহ্নিত করে তাকে তার বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

তবে এ ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন রোগীদের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে হোসেনপুর থেকে আসা রোগীর বিস্তারিত কেউ বলতে পারছেন না।। আর সেটাই ভয় ও আতঙ্কের কারণ। সে স্থানীয় নাকি প্রবাসী সেটাও চিকিৎসকদের জানা নেই। কিশোরগঞ্জ/রুমন চক্রবর্তী/সাজেদ