সারা বাংলা

করোনার সময়েও ঘরছাড়া দেড় শতাধিক পরিবার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে লোকজনকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। অথচ এ সময়ে ঘরছাড়া হয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিববাড়ী গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবারের সদস্যরা।

একটি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পুলিশি আতঙ্কে এখন বাড়িতে থাকতে পারছেন না গ্রামবাসী। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। আজ এখানে তো কাল ওখানে অবস্থান করছেন তারা।

গত ১০ মার্চ ওই এলাকায় সামসুল নামের এক ব্যক্তি খুন হন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা জুলেখা বেওয়া।

পুলিশি আতঙ্কে থাকা ওই গ্রামের মাহমুদা, লতিফা, হোসনেআরাসহ কয়েকজন বলেন, ‘সামসুল হত্যা মামলায় যে সাতজনের নাম উল্লেখ আছে তাদের গ্রেপ্তার করুক পুলিশ, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু মামলায় অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করায় পুরো গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছে। পুলিশ দিন-রাত এ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। হয়রানি ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো গ্রামের নারী-পুরুষ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি পুলিশ হাসেন আলী নামের এক ভ্যানচালককে ধরে নিয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক আরো বেড়েছে।’

তারা আরো বলেন, ‘এ এলাকার বেশিরভাগ লোকই দিনমজুর, হোটেল শ্রমিক বা চাতাল শ্রমিক। একদিকে করোনার জন্য সবাইকে বাসায় থাকতে বলছে সরকার, অন্যদিকে পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফলে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া, মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে এলাকাসীর কাছে ২৫-৩০ হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে।’

তবে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেছেন, ‘পুলিশ হয়রানি করছে না। আইন মোতাবেক যা করা প্রয়োজন, তা-ই করছি।’ হিমেল/রফিক