সারা বাংলা

অবশেষে খাবার পেলেন ৩ দিনের অভুক্ত সেই বৃদ্ধ

অবশেষে খাবার পেলেন তিনি। এর আগে টানা তিন দিন পানি খেয়ে কাটিয়েছেন হোম কোয়ারাইন্টানে থাকা অসহায় বৃদ্ধ সোবাহান হাওলাদার। খবর পেয়ে তার ঝুপড়ি ঘরে খাবার নিয়ে হাজির হন পটুয়াখালীর এসপি মোহম্মদ মইনুল হাসান।

বুধবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাবার নিয়ে সোবহান হাওলাদারের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেন তিনি।

করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতির কারণে কয়েক দিনের অঘোষিত লকডাউনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ সোবহান হাওলাদার। পটুয়াখালীর দুমকী থানার পশ্চিম পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস তার। অবরুদ্ধ এ সময়ে খাবার না থাকায় তিন দিন ধরে পানি পান করেছেন তিনি। ঘটনাটি গণমাধ‌্যমসহ সামাজিক মাধ‌্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।

মঙ্গলবার মধ্য রাতে সংবাদটি পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহম্মদ মইনুল হাসানের দৃষ্টিগোচর হয়। রাতেই দুমকী থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসানকে পাঠিয়ে অসহায় বৃদ্ধের খোঁজ নেন তিনি।

ওসির মাধ্যমে ওই বৃদ্ধের পছন্দের খাবার সম্পর্কে জেনে নেন এসপি মইনুল হাসান। বুধবার সকালে সেগুলো নিয়ে তিনি হাজির হন সোবহান হাওলাদারের বাড়ি। এছাড়া ১৫ দিন চলার মতো চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ‌্যসামগ্রী দেওয়া হয় তাকে।

খাবার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সোবহান হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে না খেয়ে ছিলাম। শুধু পানি খেয়েছি। কত মানুষ আমার পাশ দিয়ে গেছে, কেউ এক গ্লাস পানিও দেয়নি। অথচ যাদের দেখলে ভয় করি, সেই পুলিশ খাবার নিয়ে আমার ঝুপড়িতে এসেছে।’ এ কথা বলার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এসপি মইনুল হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার মধ্য রাতে সোবহান হাওলাদারকে নিয়ে একটি মানবিক সংবাদ চোখে পড়ে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানালে তারা খোঁজ নেয়। পরে তার পছন্দের খাবারসহ ১৫ দিনের খাদ‌্যসামগ্রী দেওয়া হলো। প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। সবসময় জনগণের পাশেই থাকবে।’

খাবার বিতরণের সময় পটুয়াখালী বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তরা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিলাস দাস/সনি