সারা বাংলা

শ্রমিক সংকট, গম বিক্রি নিয়েও শঙ্কায় চাষিরা

নওগাঁর সাপাহারে শুরু হয়েছে গম কাটা-মাড়াইয়ের মৌসুম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে লোকজন ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় গম কাটা-মাড়াইয়ের শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, হাট-বাজার ও আড়ৎ বন্ধ থাকায় গম বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছেন চাষিরা।

সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা   গেছে, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। এবার এ উপজেলায় ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার ১০০ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

গম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের গমবীজ, সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছিল। কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। রোগ-বালাই তেমন না থাকায় চলতি মৌসুমে প্রতি বিঘায় ১২-১৩ মণ গম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় হাট-বাজার ও আড়ৎ বন্ধ থাকায় গম বাজারজাত করা নিয়ে আশঙ্কায় আছেন কৃষকরা। লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় গম কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে এলাকার চাষিরা বলেন, গমের ভালো ফলন পেলেও তা বাজারজাত করা নিয়ে আশঙ্কায় আছি। অনেকে ঋণ নিয়ে গম আবাদ করেছেন। যদি গম বাজারজাত করতে অসুবিধা হয় তাহলে অনেক চাষি বিপাকে পড়বেন।

 

নওগাঁ/সাজু/রফিক