সারা বাংলা

করোনা পরিস্থিতিতেও সিরাজগঞ্জে বাড়িতে হামলা-লুটের অভিযোগ

করোনা পরিস্থিতিতেও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মুসা শেখ বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.  আনোয়ারুল ইসলাম।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া মধ্যপাড়া গ্রামে স্কুলের ইট বেচাকেনা নিয়ে মৃত সোরহার হোসেনের পুত্র মো. মুসা আলমের বাড়িতে হামলা চালায় একই গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল সালাম ও তার লোকজন। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাটা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

মামলার বাদী মুসা আলম বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল সালামের সঙ্গে আমাদের গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইট বিক্রিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে গত রবিবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িসহ আরো দুইটি বাড়ী ভাঙচুর ও লুটপাট করে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল সালাম, রেজাউল করিম রেজু, আবু সাইদ, জহির, বুদ্দু, হোসেন, ছানোয়ার, সাইফুল, মফিজুল, এরশাদ, আব্দুল মান্নানসহ আরো অনেকে।  এসময় আমার বাড়ির আলমারীতে থাকা নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ৬ ভরি সোনার গহনাসহ দুই বাড়ির জিনিস-পত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। পরে বেলকুচি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল সালাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জানতে পারলাম, আমার ভাতিজা হোসেন আলীকে মারপিটের ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে কে বা কারা রাতে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে, আমার জানা নেই।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দেলুয়া গ্রামে মারামারির ঘটনায় এক পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিরাজগঞ্জ/অদিত্য রাসেল/সাজেদ