ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. আনোয়ার হোসেন গত চার দিন ধরে অফিস করছেন না। এতে দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ করা চাল বিতরণ করতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বরাদ্দকৃত চাল পেয়ে ফিরে গেছেন। তারা খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাহিদাপত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নলছিটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় হতদরিদ্রদের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে এলাকার কর্মহীন মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন।
তবে গুদাম কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন গত চার দিন ধরে অফিস করছেন না। তার স্বাক্ষর ছাড়া চাহিদাপত্র ও গুদাম থেকে চাল নিতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা। হতদরিদ্ররা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতায় খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন না।
খাদ্যগুদামে চাল নিতে আসা নলছিটির মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন অভিযোগ করেন, ‘খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গত কয়েকদিন ধরে অফিসে আসছেন না। তিনি চাল বরাদ্দের চাহিদাপত্র না দিলে আমরা বরাদ্দ নিতে পারি না। বর্তমানে আমরা বরাদ্দকৃত চাল নিতেও পারছি না, এলাকায় বিতরণও করতে পারছি না।’
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, ‘সরকারি চাহিদাপত্র ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের হাতে মালামাল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এতে কাজের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। এমন সঙ্কটময় অবস্থায় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়টি আমার জানা নেই। একজন ইউপি চেয়ারম্যান সকালে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। তার অনুপস্থিতির কারণ জেনে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নলছিটি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সুস্থ হয়ে অফিসে ফিরলে জনপ্রতিনিধিদের ডিও সরবারহ করা হবে।’ অলোক সাহা/সনি