সারা বাংলা

লকডাউন কক্সবাজার, আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবেন এ জেলার বাসিন্দারা। এখন থেকে কেউ কক্সবাজারে প্রবেশ করতে ও কক্সবাজার থেকে বের হতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রামু সেনানিবাস।

শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে।  প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে কক্সবাজার প্রবেশ ও কক্সবাজার থেকে বের হওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের প্রধান সব প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে সকল উপজেলায়।  জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন ব্যতীত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এমন নির্দেশনা অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারীদের আর্থিক জরিমানা এমনকি প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানানো হয়।

একই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়।  সেনাবাহিনী এবং পুলিশের অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত করা হয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।  অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা ও ত্রাণ সংক্রান্ত গাড়ি ব্যতীত কোনও  ধরনের গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করতে দেওয়া বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। 

সেনাবাহিনীর রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা গেছে, আরআরসি কমিশনের স্টিকার বা লিখিত অনুমোদন ব্যতীত দেশি, বিদেশি এনজিও বা ব্যক্তিদের ক্যাম্পে প্রবেশ/বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান রাইজিংবিডিকে বলেন, জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের কয়েকটি জেলা ও অনেক স্থান লকডাউন করা হয়েছে। কক্সবাজারও লকডাউন হয়েছে। এর আওতায় অন্য কোনও জেলার মানুষও কক্সবাজারে ঢুকতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা রয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় মোট ৫১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।  এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪৫২ জন।  জেলায় এ পর্যন্ত ৭৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের সবার রেজাল্ট নেগেটিভ। কক্সবাজার/সুজাউদ্দিন/হাসান/সাইফ