সারা বাংলা

চট্টগ্রামে খোলা মাঠে কাঁচাবাজার: দূরত্ব রেখে স্বস্তির কেনাবেচা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। জনবান্ধব এবং স্বাস্থ্যকর একটি উদ্যোগটি শুরু হয়েছে শুক্রবার, খোলা মাঠে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া চালু করার মাধ্যমে। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচাবাজার- চকবাজার কাঁচাবাজার স্থানান্তর করা হয়েছে চকবাজারের প্যারেড মাঠে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর তদারকিতে এই কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত  উপ- কমিশনার (পি আর) আবু বকর সিদ্দিক রাইজিংবিডিকে জানান, পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে একটি মডেল কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া হিসেবে গত কয়েকদিন যাবৎ চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ চকবাজার কাঁচা বাজার সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং ইজারাদারদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত মতে গত দুই  দিন যাবত  কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সকল দোকান মালিক এবং কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীগনের সহায়তায় চকবাজারের প্যারেড মাঠে প্রায় ৩৫০টি অস্থায়ী কাঁচা ঘর নির্মাণ করা হয়। শুক্রবার সকাল আটটা থেকে স্থানান্তরিত এই কাঁচা বাজারে বেচাকেনা শুরু হয়।

এ কাঁচা বাজারের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি একটি একমুখী চলাচলের বাজার। মাঠে দুইটি গেইট আছে। একটি গেট দিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা প্রবেশ করবেন এবং কেনাকাটা শেষে অন্য একটি গেট দিয়ে বের হয়ে যাবেন। এই প্রক্রিয়ায় একজন আরেকজনের মুখোমুখি হবেন না এবং ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কাও কম থাকবে।

স্থানান্তরিত এই বাজারে চকবাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে শাকসবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ কিনতে পারবেন। বাজারটি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় করোনাভাইরাস সংক্রমনের শঙ্কা যতদিন থাকবে, ততদিন এই বাজারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ জানায়, মহানগরীর অন্যান্য এলাকাতে পর্যায়ক্রমে উম্মুক্ত মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এরকম কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে সিএমপি কর্তৃক স্থাপিত ও স্থানান্তরিত এসব কাঁচাবাজার নগরবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম/রেজাউল করিম/সাজেদ