সারা বাংলা

কবিরহাটে ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে আ.লীগ নেতা আহত

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জের ধরে ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালের দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছিন্নদ্রি গ্রামের চৌরাস্তা এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ বাহার উদ্দিন (৪৫) বাটইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গুলিবিদ্ধ বাহার উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক আমিন জনি ও শাকিব গ্রুপের মধ্যে আজ সকালে ছিন্নদ্রি গ্রামের চৌরাস্তা দোকান ঘর এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শাকিব গ্রুপের কয়েকজন যুবক আমার বসত বাড়ির উপর দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

‘পরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি তাদেরকে অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে আমার বসত বাড়ির ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তখন আমি তাকে আমার বসত বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিলে সে আমার বাম পায়ে গুলি করে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাটইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মদদে ছাত্রলীগ নেতা জনি এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করব।’

অভিযুক্ত তারেক আমিন জনি অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘তাকে লক্ষ্য করে শাকিব নামে এক যুবক গুলি চালায়। সেই গুলি লক্ষ‌্যভ্রষ্ট হয়ে বাহারের পায়ে লাগে।’

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার মদদে এলাকায় কেউ কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে না। গুলিবিদ্ধ বাহার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার কারণে তাকে দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় টিপু ও রুবেল নামে আরও দুই যুবক আহত হয়েছে। তারা কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

তিনি জানান, সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি কোনো দলীয় আধিপত্য ও কোন্দলের জের ধরে সংঘটিত হয়নি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। মাওলা সুজন/সনি