সারা বাংলা

খাতুনগঞ্জে আদার অবৈধ মজুদে ম্যাজিট্রেটের হানা

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেশি দামে বিক্রির লক্ষ্যে অবৈধভাবে মজুদকৃত আদার গোডাউনে হানা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ম্যাজিট্রেট তৌহিদুল আলমের নেতৃত্বে এই বাজারের একটি পান-সুপারির গোডাউন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২ টন ওজনের ৮৮ বস্তা আদা।

মাত্র ৮০ টাকায় কিনে এসব আদা ২৪০ টাকায় বিক্রির লক্ষ্যে মজুদ করেছিলো খাতুনগঞ্জের বশির মার্কেটের শাহ আমানত ট্রেডার্স নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

পরে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি উদ্ধারকৃত আদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ প্রদান করেন ম্যাজিট্রেট।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট তৌহিদুল আলম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে খাতুনগঞ্জের শাহ আমানত ট্রেডার্সে অভিযান চালানো হয়। সেসময় ওই প্রতিষ্ঠানে কোনো আদার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি এবং আমদানিকারক আদা বিক্রির কথা অস্বীকার করেন।

পরে গোপনে তথ্য পাওয়া পার্শ্ববর্তী একটি পান-সুপারির গোডাউনে ওই আমদানিকারকের মজুদকৃত ৮৮ বস্তা আদা উদ্ধার করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শাহ আমানত ট্রেডার্সের মালিক তৈয়ব আলী দ্বিগুণ তিনগুণ বেশি মূল্যে এসব আদা বিক্রির জন্য মজুদ করেছিলেন বলে পরে ম্যাজিট্রেটের কাছে স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় তৈয়ব আলীকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং উদ্ধারকৃত আদা তাৎক্ষণিক ১২০টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

একই সময় খাতুনগঞ্জের একতা ট্রেডার্স, শাহাদাত ট্রেডার্স এবং মাহবুব খান সাওদাগরের আদার আড়তে অভিযান চালিয়ে ৮০ টাকার আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি সত্যতা পান ম্যাজিট্রেট।

এ ঘটনায় তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একতা ট্রেডার্স ও শাহাদাত ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং মাহবুব খান সাওদাগরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম‌্যমান আদালত।

আদার মূল্য নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ম্যাজিট্রেট তৌহিদুল আলম। রেজাউল/সনি