সারা বাংলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালবৈশাখীতে আম-ধানের ক্ষতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ও বৃষ্টিতে আম ও ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরের পর ঝড় হয়।

সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের চাঁপাই-মহেশপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ দিন আগের বৃষ্টির কারণে ধান পুরোপুরি পেকে থাকলেও কাটতে পারছিলাম না। আর দুয়েকদিন রোদ হলেই ধান কাটা শুরু করতাম। আমার মতো এই এলাকার সকল ধান চাষিই একটু কড়া রোদের অপেক্ষাই ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে আবার বৃষ্টি হয়ে ধান কাটার অপেক্ষা বাড়লো।’

বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, ‘পাকা ধান বেশিরভাগই মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এতে ধান কাটার যেমন অসুবিধা হবে, তেমনি ফলনও কমে যাবে।’

এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের মহিশপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী তফিকুল ইসলাম জানান, ঝড়ের সাথে সাথে তিনি আম বাগানে যান। ঝড়ে আম পড়ে গাছের তলা পরিপূর্ণ দেখতে পান।

গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের সাহেব গ্রামের শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম বলেন, ‘খুব ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আমি একাই ১৫-২০ মিনিটের ২৫ কেজি আম কুড়িয়ে পেয়েছি। আমার মতো অনেকেই এতগুলো করে আম পেয়েছে, এটা থেকেই তাহলে বুঝতে পারছেন, কতো আম পড়েছে!’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, এবছর জেলায় ৪৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ হয়েছে। কিছু জায়গায় শুরু হলেও আগামী রোববার থেকে ব্যাপক হারে ধান কাটা শুরু হবে বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন, ‘এবছর ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। শিলাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টি না হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। তাছাড়াও করোনায় লকডাউনের সময় দেশব্যাপী আমের বাজারজাতকরণে নানা উদ্যোগ নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে কয়েক দফায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের সাথে আলোচনা হয়েছে।’ জাহিদ হাসান/সনি