সারা বাংলা

সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় শুরু না হওয়ায় বেকায়দায় কৃষক

হবিগঞ্জের গভীর হাওর এলাকায় ধান কাটা প্রায় শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারিভাবে ধান চাল ক্রয় শুরু না হওয়ায় কৃষকরা বেকায়দায় রয়েছেন।

বুধবার (৬ মে) বিকেল পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলার গভীর হাওরের ৯৯শতাংশ ধান কেটে ফেলা হয়েছে। সাধারণ এলাকার কাটা হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ তমিজ উদ্দিন খান এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, হবিগঞ্জ জেলার হাওরে ৪৬ হাজার ৩৬০ হেক্টর বোরো আবাদ হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় ১ লাখ ২০ হাজার ৮শ হেক্টর আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং শ্রমিক সংকট বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ধান কাটার কাজ সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে ।

এদিকে, হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় ধান কাটার শুরুতে ভাল দাম থাকলেও এখন দাম কমে গেছে। ফলে কৃষকরা ধান চাষ করে এবারও লোকসানের আশঙ্কা করছেন। কারণ ধান উৎপাদনে খরচ বেশি থাকায় কৃষকরা কোনভাবে পোষাতে পারছেন না। তবে সরকারিভাবে এবার জেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধান-চাল ক্রয় করা হবে ঘোষণায় প্রান্তিক কৃষকরা আশায় বুক বেঁধেছেন। এখানে বিক্রি করতে পারলে তাদের লোকসান পোষানো সম্ভব হবে। কিন্তু জেলা খাদ্য বিভাগ সরকারি ধান-চাল ক্রয়ের তারিখ ঘোষণা করার পর এক সপ্তাহ চলে গেলেও এখনও শুরু করতে পারেনি সংগ্রহের কাজ। লটারি ও তালিকা প্রণয়নে বিলম্বের জন্য সংগ্রহের কাজ শুরু হতে পারেনি নির্ধারিত সময়ে। ফলে কৃষকরা তাদের ধান বাড়িতে রাখারও কোন সুযোগ পাচ্ছে না। এই সুযোগে মধ্য স্বত্ত্ব ভোগীরা ধান কিনে নিচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে।

হবিগঞ্জের জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বলেন, ‘আমরা  চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ হাজার ৫৮ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ১ মে থেকে ক্রয় শুরু করার প্রস্তুতি নিলেও লটারি এবং তালিকা প্রণয়নের কাজে বিলম্বের জন্য আমরা শুরু করতে পারিনি। তবে বৃহস্পতিবার লাখাই উপজেলায় লটারি হবে এবং শুক্রবার সেই উপজেলায় ক্রয় শুরু করা যাবে। জেলার সবচেয়ে বেশি বোরো ধান যেখানে আবাদ হয় সেই বানিয়াচং উপজেলায় লটারি হবে রোববার। এরপর শুরু হবে ক্রয়।'

 

মামুন/টিপু