সারা বাংলা

আম্ফান মোকাবিলায় প্রস্তুত হাতিয়া

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে, সেইসাথে চলছে সর্তকতামূলক মাইকিং।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তা অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার (২০ মে) নোয়াখালীর উপকূলে আঘাথ্হোনতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান।

মঙ্গলবার (১৯ মে) হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, আম্ফান মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র। যাতে ৮০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ যাতে সহজে আসতে পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো হাতিয়াজুড়ে চলছে মাইকিং। ৩০ থেকে ৩৫ জন স্বোচ্ছাসেবক ওয়ার্ড ভিত্তিক কাজ করবেন। গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। সিপিপির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, করোনার চিন্তা মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে। তারপরও আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকব। এখনও পর্যন্ত হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনো লক্ষণ দেখা না দিলেও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এখনও বিরাজ করছে রোদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। তাই মানুষের মাঝে কোনো ভীতি কাজ করছে না।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনহার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম্ফান মোকাবিলায় কাজ করা হচ্ছে। পুরো হাতিয়ায় পুলিশ সদস্যরা মাইকিং করার পাশাপাশি জনগণকে সতর্ক করছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে পুলিশ।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আয়োজিত এক সভায় জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য উপকূলীয় এলাকার স্কুলগুলোর চাবি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলো দেখভালো করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকার করোনা আক্রান্ত রোগী এবং লকডাউনকৃত বাড়ির লোকজনকে নিকটবর্তী আইসোলেশন কেন্দ্রে নেওয়া হবে এবং আশ্রয়ন কেন্দ্রে তাদের জন্য বিশেষ কক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশুর জন্য কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

উল্লেখ্য,নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা পুরোটা মেঘনা নদীর দ্বারা বেষ্টিত। তাই যে কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ এই দ্বীপটির উপর আঘাত হানে বেশি। মওলা সুজন/সনি